| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল মাজাভাঙ্গা নির্বাচন কমিশন বাতিল করতে হবে : মুফতী ফয়জুল করীম


মাজাভাঙ্গা নির্বাচন কমিশন বাতিল করতে হবে : মুফতী ফয়জুল করীম


রহমত নিউজ ডেস্ক     07 November, 2023     08:27 PM    


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, গত ৫ নভেম্বর দেশের দুইটি আসনে (বি-বাড়ীয়া-২ ও লক্ষীপুর-৩) উপ-নির্বাচনে আবারও নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ব্যাপক অনিয়ম, কারচুপি, ব্যালট পেপারে সিল মারাসহ পেশী শক্তির প্রদর্শণ করা হয়েছে। এই মাজাভাঙ্গ ও দলান্ধ কমিশন কী ভাবে জাতীয় নির্বাচনের মত একটি নির্বাচন করতে পারে? কাজেই অর্থব নির্বাচন কমিশন বাতিল করতে হবে। দেশের মানুষ একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। যা জাতীয় সরকারের অধীনেই কেবল সম্ভব নয়।

আজ (৭ নভেম্বর) মঙ্গলবার দুপুরে পল্টনস্থ কার্যালয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশারফুল আলম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির প্রমুখ।

মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, দেশের প্রবল সংঘাতময় ও অস্থিতিশীল সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলে দেশ ভয়াবহ সংঘাতে নিপতিত হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য বর্তমান সময় মোটেও অনুকূলে নয়। নভেম্বরের মাঝামাঝি জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে আর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের আয়োজন করলে আজীবন গণধিকৃত হয়ে থাকবেন ইসি। দলবাজ সিইসিকে রুখে দেবে জনগণ। নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি না করে এবং নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা কী হবে তা নির্ধারণ না করে কোনভাবেই তফসিল ঘোষণা হতে পারে না। এধরনের চেষ্টা থেকে দলবাজ ও দলান্ধ ইসিকে বিরত থাকতে হবে। এ রকম অবস্থায় একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে চরম কান্ড জ্ঞানহীন পদক্ষেপ।

তিনি আরো বলেন, সরকার প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধাত্মক অবস্থান থেকে বিএনপিসহ বিরোধীদের ওপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি করছে, তা কোনোভাবেই একটি নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের সহায়ক হতে পারে না। দেশে আর একটি নীলনকশার পাতানো নির্বাচন জনগণ কোনোভাবেই মেনে নিতে প্রস্তুত নয়। জনগণ প্রয়োজনে রক্ত ও জীবন দিয়ে তা প্রতিহত করবে। সরকার ও সরকারি দল যদি তারপরও জবরদস্তি করে নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পাঁয়তারা অব্যাহত রাখতে চায়, তাহলে সিইসিসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের কাজ হবে নৈতিক ও বিবেকের দায় নিয়ে অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন থেকে সরে দাড়ানো। নির্বাচন কমিশন থেকে সরে না দাড়ালে আর একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করলে নির্বাচন কমিশনকেও এর দায়ভার নিতে হবে।  কারণ, দেশ ও দেশের মানুষ কোনোভাবেই আর একটি ব্যর্থ, অকার্যকর ও তামাশার নির্বাচনের দায় নিতে পারবে না।